বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন হচ্ছে এক ধরনের সাংকেতিক মুদ্রা(Virtual Currency)। বিটকয়েন এর মূল্য অনেক বেশি। বর্তমানে ১
বিটকয়েন সমান ৪৩৪.৫৯ ডলার। (বিটকয়েন এর মূল্য শেয়ার বাজারের মত সব সময় উঠানামা করে।
এই রেট টা প্রতিনিয়ত ই পাল্টাতে পারে। বিটকয়েন এর বর্তমান রেট দেখতে এখানে ক্লিক করেন।)
Satoshi Nakamoto নামের এক ভদ্র লোক সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে বিটকয়েন আবিষ্কার
করেন। বিটকয়েন লেনদেন নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এটি সর্বোপরি
ওপেনসোর্স প্রোজেক্ট। সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাকে পিয়ার টু পিয়ার নামে অবিহিত
করেন। বিটকয়েন মাইনার নামে এক ধরনের সার্ভারে যাবতীয় লেনদেন সংরক্ষিত থাকে। বিশ্বের
যেকোনো জায়গায় যেকোনো কম্পিউটার থেকে বিটকয়েন লেনদেন করলে তাদের মূল সার্ভারে
অটোমেটিক সংরক্ষিত হতে থাকে। বিটকয়েন বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় Virtual Currency হিসেবে অবিহিত সকলের কাছে। এটি পেপাল, পেইজা, পারফেক্টমানি
এর মত পেমেন্ট প্রসেসর হিসেবে ব্যাবহারিত হচ্ছে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও। এমনকি
আপনি অনেক ওয়েব সাইটে বিটকয়েন দ্বারা
কেনাকাটা করতে পারবেন খুব সহজে।
বিটকয়েন মাইনার এর মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন উৎপন্ন করা যায়। কম্পিউটার বা স্মার্ট
ফোন দিয়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার দ্বারা যেকেউ বিটকয়েন উৎপন্ন করতে পারবে। উৎপাদিত
বিটকয়েন গ্রাহকের ডিজিটাল ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট এ সংরক্ষিত থাকবে।
২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্ট বিটকয়েন গুলো প্রত্যেক চার বছর পর পর অর্ধেকে নেমে আসবে। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরী হয়ে গেলে আর কোন নতুন বিটকয়েন তৈরী করা হবে না।
বিটকয়েন মাইনার এর সার্ভার এর মত দেখতে
কিভাবে বিটকয়েন আয় করবো?
বিটকয়েন আয় করতে পারেন আপনি বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে। আগেই বলে রাখি বিটকয়েন আয় করা সহজ ব্যাপার না। বিটকয়েন আয় করতে হলে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। আজকে আমি আপনাদের কে দেখাবো কিভাবে সহজেই বিটকয়েন আয় করা যায়।
আমরা যে বিটকয়েন আয় করবো সেটা রাখবো কোথায়? অবশ্যই ডিজিটাল ই-ওয়ালেট
অ্যাকাউন্ট এ । তাই প্রথমে আপনাকে এখানে ক্লিক করে সঠিক ভাবে ইমেইল, পাসওয়ার্ড
দিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে নিতে হবে। এখন আপনার দেওয়া ইমেল এ লগিন করে ডিজিটাল
ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে নিবেন। LocalBitcoins.com
এই সাইটে লগিন করে Wallet: 0.00000000 BTC
এই অপশনে ক্লিক করবেন। এখন হাতের ডানপাশে দেখেন Receive bitcoins এর নিচে
এই ধরনের একটা কোড পাবেন। এখন এই কোড টা ভালো করে সিলেক্ট করে কপি করুন, তারপর আপনার কম্পিউটারের যেকোনো ড্রাইভে একটি নোটপ্যাডে কপি করে রেখে দিন। এটা হলো আপনার bitcoin Address এটা আপনার সবসময় দরকার। বিভিন্ন সাইটে বিটকয়েন আর্ন করার জন্য এই অ্যাড্রেস টা লাগবে।
ব্যাস এখন আমাদের ডিজিটাল ই-ওয়ালেট
অ্যাকাউন্ট খোলা শেষ। এখন বিটকয়েন আর্ন করার পালা। তো প্রথমে আপনি এখানে ক্লিক
করুন এবং আপনার ডিজিটাল ই-ওয়ালেট অ্যাড্রেস টা কপি করে দেখেন যে উপরে লিখা আছে Welcome to Moon Bitcoin এখন এর নিচে একটা খালি ঘর আছে সেখানে আপনার ই-ওয়ালেট অ্যাড্রেস টা পেস্ট করে
ডান পাশে সাইন ইন এ ক্লিক করুন।
এখন দেখুন আস্তে আস্তে নিচে সাতোশি বাড়তে আছে। এখন
আপনি নিচে claim now এ ক্লিক করে কাপচা পূরণ করে সাবমিট দিন।
এখন উপরে দেখেন যে কিছু সাতোশি আপনার অ্যাকাউন্ট এ যোগ হয়েছে। এই ভাবে আপনাকে
প্রত্যেক ১ ঘন্টা পর অথবা ২ ঘন্টা পর পর করতে হবে, তাহলে আপনার সাতোশি তারাতারি
বাড়বে। আপনি ইচ্ছা করলে দিনে ১-২ বার ও করতে পারেন এটা আপনার ইচ্ছে। আপনি কিছুদিন
করলেই বুঝবেন কিভাবে করলে ভালো হবে।
এই সাইট থেকে আপনার ডিজিটাল ই-ওয়ালেট
অ্যাকাউন্ট এ সাতোশি যোগ হবে সপ্তাহে রবিবার অথবা সোমবার। এটা আপনার কিছুই করতে
হবে না, সর্বনিম্ন যখন আপনার অ্যাকাউন্ট এ ৫৫০০ সাতোশি হবে তখন অটোমেটিক সপ্তাহে
একবার আপনার ডিজিটাল ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট এ ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
এই একটি মাত্র সাইট থেকে আপনার আর্ন খুব
কম হবে তাই আপনাকে এই রকম আরও অনেক সাইট থেকে আর্ন করতে হবে।
কিছু কিছু সাইট আছে যেখানে আপনাকে ইমেইল
ও বিটকয়েন অ্যাড্রেস দিয়ে সাইন আপ করে কাজ করতে হবে এবং আপনি একবার claim করার সঠিক ১ ঘন্টা পর আবার claim করতে
পারবেন। এই ভাবে প্রত্যেক ১ ঘন্টা পর পর claim করতে হবে। আর প্রত্যেক সাইটেই অটোমেটিক আপনার
ই-ওয়ালেট এ ট্রান্সফার হবে সপ্তাহে একবার। আর মিনিমাম আপনার অ্যাকাউন্ট এ ৫৫০০
সাতোশি করতে হবে, আর যদি ৫৫০০ সাতোশি না হয় তাহলে আপনার ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট এ
ট্রান্সফার করতে পারবেন না। আর সবথেকে বড় কথা হলো আপনি এই ধরনের সবসাইট থেকেই
রেফারেল লিঙ্ক ব্যবহার করে অন্য কাউকে কাজ করাতে পারলে আপনার ও আয় বেড়ে যাবে।
আপনাদের কাজের সুবিধার্থে নিচে কিছু
সাইটের আমার স্পন্সর লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। এই সব সাইটে ও আপনি কাজ করলে খুব ভালো আর্ন
করতে পারবেন। পারলে আমার স্পন্সর লিঙ্কে সাইন আপ করবেন। এতে আপনাদের কোন লোস হবে
না। আমার সামান্য কিছু লাভ হবে।
আর হ্যাঁ আগামী পর্বে দেখাবো কিভাবে ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট থেকে বিটকয়েন সেল দিয়ে ডলার বানানো যায়। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েন লেনদেন করতে নিষেধ করে দিয়েছে। সবাই ভালো থাকবেন। আর কোন সমস্যা হলে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
আর হ্যাঁ আগামী পর্বে দেখাবো কিভাবে ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট থেকে বিটকয়েন সেল দিয়ে ডলার বানানো যায়। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েন লেনদেন করতে নিষেধ করে দিয়েছে। সবাই ভালো থাকবেন। আর কোন সমস্যা হলে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
আশা করা যাই
নতুন অবস্থায় এই ৬ টা সাইটে নিয়মিত কাজ করলে মাসে খুব ভালো একটা ইনকাম পাওয়া
যাবে-ইনশাল্লাহ।
No comments:
Post a Comment